প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এসো শিখিতে তোমাদের স্বাগত জানাই | আজকের
এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে দেওয়া নবম শ্রেনীর ইতিহাস এর 2021 এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Compilation এর
উত্তরগুলি | আশা করি এতে তোমরা উপকৃত হবে | ( Class 9 Model Activity Task Compilation History 2021 PART 8 Solutions)
নবম শ্রেণী
MODEL ACTIVITY COMPILATION
ইতিহাস
১. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাও : ১ × ৪ = ৪
উত্তর:
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো : ১ × ৪ = ৪
২.১ ফ্রান্সে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ।
উত্তর: সত্য
২.২ শিল্প বিপ্লবের সময় ইংল্যান্ড বিশ্বের কারখানা হিসাবে পরিচিতি পায় ।
উত্তর: সত্য
২.৩ হিটলারের ভাষায় ইতালি ছিল - 'একটি ভৌগোলিক সংজ্ঞা মাত্র '।
উত্তর: মিথ্যা
২.৪ এড্রিয়ানোপলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে ।
উত্তর: সত্য
৩. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
৩.১ ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন _____ |
উত্তর: ষোড়শ লুই
৩.২ 'কাঁদিদ' নামক গ্রন্থটি রচনা করেন_____ |
উত্তর: ভলতেয়ার
৩.৩ ফ্রান্সকে 'ভ্রান্ত অর্থনীতির যাদুঘর' বলে মন্তব্য করেছিলেন ____ |
উত্তর: অ্যাডাম স্মিথ |
৩.৪ ১৮৬১ খ্রি: 'মুক্তির ঘোষণাপত্র' দ্বারা ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ হয়েছিল -
বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের আলোচনার জন্য আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপ জয়েন করুন |
৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ২ × ৫ = ১০
৪.১ কারা 'ইনটেন্ডেন্ট' নাম পরিচিত ছিলেন ?
উত্তর : ফ্রান্সের প্রাচীন যুগের আওতাধীন এবং প্রশাসনিক কিছু কর্মকর্তা ছিল যারা প্রতিটি প্রদেশে রাজার এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন। ফ্রান্সে প্রাক-বিপ্লব পর্বে রাজস্ব আদায়কারী কর্মচারীরা ইনটেন্ডেন্ট নামে পরিচিত ছিল। প্রায় ১৬৪০ সাল থেকে ১৭৮৯ সাল পর্যন্ত ইনটেন্ডেন্টরা ফরাসি রাজতন্ত্রের প্রশাসনিক একীকরণ এবং সার্বিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
৪.২ ‘লিজিয়ান অব অনার' কি ?
উত্তরঃ লিজিয়ান অব অনার হল নেপলিয়ান বোনাপার্ট কতৃক প্রতিষ্ঠিত ফরাসি সরকারের একটি সম্মাননা। ১৮০২ সালে ১৯ মে তারিখে প্রথম ফরাসি প্রজাতন্ত্রে এটি প্রতিষ্টিত হয়েছিল। এটি ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মাননা এবং এটি পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। এই পাঁচটি ডিগ্রি হলো - Chevalier (নাইট), Officer (অফিসার), Commander (কমান্ডার), Grand Officer (গ্র্যান্ড অফিসার), Grand-Croix (গ্র্যান্ড ক্রস)।
৪.৩ 'অর্ডারস ইন কাউন্সিল' কী ?
উত্তর: নেপোলিয়ানের বার্লিন ডিক্রি মহাদেশ থেকে ব্রিট্রিশ বানিজ্য বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয় ১৮০৬ সালে। ব্রিটিশ সরকার প্রিভি কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত সার্বভৌমের জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে কাউন্সিলে আদাশের জবাব দেয়। ১৮০৭ সালে নভেম্বর ও ডিসেম্বরের আদেশে ব্রিটিশ বানিজ্যকে বাদ দিয়ে যে কোনো বন্দরের অবরোধ ঘোষণা করা হয়ে ছিল। এই ঘোষণা অর্ডারস ইন কাউন্সিল নামে পরিচিত।
৪.৪ রিসর্জিমেন্টো কি ?
উত্তর : ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী জগরণের তথা আন্দোলনের জন্ম হয় কার্বনারী সমিতির সহযোগিতায়। এই জাতীয়তাবাদী জাগরণকে রিসর্জিমেন্টো বা পুনরুত্থান বা নবজাগরণ বলে । এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ইতালীয়রা তাদের অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বীরগাথা সম্পর্কে বিশেষ অবগত হয় ।
৪.৫ ঘেটো কাকে বলা হতো ?
উত্তর : ঘেটো কথাটির উৎপত্তি হয় ইটালির ভেনিস শহরকে কেন্দ্র করে। ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন- ইহুদিরা তাদের নিজেদের সুরক্ষার্থে শহরের একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় এক সাথে বসবাস করত। এই ঘেরা স্থান বা বসতি সমূহকেই বলা হট ঘেটো ।
৫. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও : ৪ × ৫ = ২০
৫.১ কাকে 'মুক্তিদাতা জার' বলা হয় এবং কেন ?
উত্তর : বহু যুগ ধরে নিপীড়িত ভূমিদাসদের দাসত্বের বেড়া জালের থেকে মুক্তি দেবার জন্য জার দিত্বীয় আলেকজান্ডার 'মুক্তিদাতা জার' নাম পরিচিত। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ক্ষমতায় আসার পরে যে সংস্কারগুলো করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো ভূমিদাস প্রথার উচ্ছদে। এই ঘটনাটি রাশিয়ান ঐতিহাসিক কর্মকান্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
ক) সিদ্ধান্ত গ্রহণ : রাশিয়ার পিছিয়ে থাকার পিছনে যে একমাত্র কারণ এই ভূমিদাস প্রথাই তা উপলব্ধি করেন জার দিত্বীয় আলেকজান্ডার। আইনের শর্তানুযায়ী ভূমিদাসের ছিল তাদের মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। প্রভুরা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে নিলামে ভূমিদাসদের বিক্রি বা শারীরিক ভাবে অত্যাচার করলে রাষ্ট্র তাদের বাধা দিত। বংশানুক্রমে এই ভূমিদাস প্রথা চলত ।
খ) ঘোষণাপত্র : জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ১৮৭১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী মুক্তির ঘোষণার দ্বারা ভূমিদাস প্রথার অবসান ঘটান। এই ঘোষণা অনুসারে মালিকের দাসত্ব থেকে সারাজীবনের জন্য ভূমিদাসের মুক্তি পায়। ভূমিদাসের নাগরিকত্ব লাভ করে। ভূমিদাসের জমিদারদের জমির একাংশ পায় এবং কৃষকরা জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পায়। এর পাশাপাশি জমির জন্য ক্ষতিপূরণ জমিদাররা সরকারের কাছ থেকে পায় এবং কৃষকদের চতুর্থ বছরের কিস্তিতে অর্থ সরকারকে শোধ করতে হতো ।
৫.২ 'কোড নেপোলিয়ান' বিষয়ে একটি টীকা লেখো |
উত্তর :
কোড নেপোলিয়ান : ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচিগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ হলো কোড নেপোলিয়ান। সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে নেপোলিয়ান বোনাপার্ট ৪ জন বিশিষ্ট আইনজীবীকে নিয়ে একটি পরিষদ গঠন করেন। এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের পরিশ্রমে যে আইনবিধি সংকলিত হয়, সেটি কোড নেপোলিয়ান নামে খ্যাত। ২২৮৭ টি বিধি সংবলিত এই আইন সংহিতার তিনটি ভাগ রয়েছে, যথা: দেওয়ানি, ফৌজিদারি এবং বানিজ্যিক আইন। ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, সমতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা অ সম্পত্তির অধিকারের স্বীকৃতি ছিল এই আইন সংহিতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ।
প্রাকৃতিক আইন ও রোমান আইনের সমন্বয় সাধন করে নেপোলিয়ান বোনাপার্ট কোড নেপলিয়ান রচনা করেছিলেন। এই আইনের ফলে সামাজিক ক্ষেত্রে সাম্য ও একতা প্রতিষ্টিত হওয়ার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনও যথেষ্ট দৃঢ় হয়। সকল নাগরিক সমান মর্যাদা ও সমান সুযোগ লেভার অধিকারে স্বীকৃত হয়। উত্তরাধিকার সূত্রে চাকরি পাওয়ার বদলে যোগত্যার নিরিখে চাকরি প্রদান গুরুত্ব পায়। ফলত নিম্ন সম্প্রদায়ভুক্ত সুযোগ্য ব্যক্তিরাও সামাজিক মর্যাদা অর্জন করে ।
৫.৩ হিটলারের উত্থান এর পশ্চাতে কোন কারণ গুলি ছিল?
উত্তর: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রজাতন্ত্র জার্মানদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জার্মানিতে নাৎসিবাদের জাগরণ ঘটে।
হিটলারের উত্থান:
- অপমানজনক ভার্সাই সন্ধি : জার্মানির প্রজাতান্ত্রিক সরকার বিজয়ী মিত্রপক্ষের সঙ্গে অপমানজনক ভার্সাই সন্ধি স্বাক্ষরে বাধ্য হয়েছিল। এর ফলে জার্মান জাতির মনে হতাশা সৃষ্টি হয়। তারা ভার্সাই সন্ধি কে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি।
- আর্থিক সংকট : ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের মহা নদীর ঢেউয়ে জার্মানির আর্থিক পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে উঠেছিল। বেকার সমস্যা মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। হিটলার যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে কর্মসংস্থান করবেন বলে আশ্বাস দিলে দেশবাসী তার দিকে ঝুঁকে পড়ে।
- প্রজাতন্ত্র সরকারের ব্যর্থতা : প্রথম থেকেই জার্মানির প্রজাতন্ত্র সরকার নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। সেগুলোর মোকাবেলা করতে না পারায় প্রজাতান্ত্রিক সরকার মিত্রপক্ষের অন্যায় দাবির কাছে নতি স্বীকার করে জার্মান জাতি মর্যাদার হানি ঘটায়।
- অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি : ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জার্মানিতে ১৫ টি মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। এ রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপূর্ণ সুযোগ নেয় হিটলার ও তার নাৎসি দল।
হিটলার জার্মানির অরাজকতার আবর্তে নাৎসিবাদের উত্থান ঘটে এবং তার জ্বালাময়ী বক্তৃতা দ্বারা জার্মান বাসের আস্থা অর্জন করে তাদের ভাগ্য বিধাতা রূপে অবতীর্ণ হন।
৫.৪ এমস টেলিগ্রাম কি ?
উত্তর: পটভূমি: জার্মানির ঐক্য এর অন্যতম প্রধান বাধা ছিল ফ্রান্স। বিসমার্ক ফ্রান্সকে সমস্যায় ফেলার উপায় হিসেবে স্পেনের সিংহাসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্পেনের পার্লামেন্টের সদস্যদের প্ররোচিত করতে থাকেন। ঐতিহাসিক আইখের মতে, ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ ঘটাবার ইচ্ছায় বিসমার্ক স্পেনের সমস্যা সৃষ্টি করেন।
স্পেনের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় ফরাসি রাষ্ট্রদূত বেনিদিতি জার্মানির রাজা প্রথম উইলিয়াম জেমস বায়ু পরিবর্তনের জন্য কিছুদিন ছিলেন। প্রথম উইলিয়াম অত্যন্ত বিনয় ভদ্র ভাবে বেনিদিতি সঙ্গে আলোচনা করেন এবং স্পেনের সিংহাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে তার মতামত ব্যক্ত করেন। প্রথম উইলিয়াম জেমস এর এই আলোচনার কথা ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই টেলিগ্রাফ মারফত বিশ্বকে জানান যা ইতিহাসে এমস টেলিগ্রাম নামে পরিচিত।
এমস টেলিগ্রামের পরিবর্তন: বিসমার্ক ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ কাঠামোর খুঁজছিলেন তাই পরের দিন এমস টেলিগ্রাম এ কিছু অংশ এমনভাবে বাদ দিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশ করেন যা দেখে ফরাসিদের ধারণা জন্মায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বেনি দিতি রাশিয়ার রাজার দ্বারা অপমানিত ও অপদস্থ হয়েছেন। সাথে সাথে ফ্রান্সে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার দাবি তীব্র হয়ে ওঠে। নেপোলিয়ন ফরাসি রাষ্ট্রপতির নিকট এই খবরের সত্যতা যাচাই না করে জনমতের চাপে ১৮৭০ সালে ১৫ জুলাই জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ।
৭. সাত বা আটটি বাক্য উত্তর দাও : ৮ × ১ = ৮
◪ জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিসমার্কের ভূমিকার উল্লেখ করো ।
উত্তর: ১৮৪৮-৪৯ সালে জারমানিতে জাতীয়তাবাদী ঐক্য আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে কয়েকটি বিষয় প্রমানিত হয়। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জার্মানির ঐক্যসাধন সম্ভব নয়, প্রাশিয়ার নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব। তাই প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম অটোভন বিসমার্ককে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন।
- রক্ত লৌহ নীতি : প্রধানমন্ত্রী বিসমার্কের উদ্দেশ্য ও নীতি ছিল খুব স্পষ্ট। এগুলি হল, তিনি ছিলেন রাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং প্রাশিয়ার সংসদের বিরোধ দেখা দেয়। এপ্রসঙ্গে বিসমার্ক প্রাশিয়ার সংসদের অর্থ সংক্রান্ত কমিটিতে বলেছিলেন বক্তৃতা বা সংখ্যা গরিষ্ঠ এর মতামত নয় বরং একমাত্র সামরিক শক্তি বা 'রক্ত ও লৌহ নিতি'-র দ্বারাই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস করতেন। বিসমার্কের এই নীতিটি রক্ত ও লৌহ নীতি নামে পরিচিত। প্রাশিয়ার প্রতিনিধি-সভার সংখ্যা গরিষ্ঠ এর মতকে উপেক্ষা করেই তিনি সামরিক প্রস্তুতি ছালান এবং পরপর তিনটি যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মানির ঐক্য সম্পন্ন করেন।
বিসমার্কের নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্য :
- ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ :
বিসমার্কের নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্যের প্রথম পদক্ষেপ ছিল ডেনমার্কের সাথে
প্রাশিয়ার যুদ্ধ। ডেনমার্কের দক্ষিণে শ্লেজউইগ ও হলস্টেইন নামে দুটি ডাচি
জার্মানির রাজ্যসীমার মধ্যে অবস্থিত হলেও তা ডেনমার্কের অধীনে ছিল। এই দুটি
প্রদেশ দখলের জন্য বিসমার্ক অস্ট্রিয়ার সাথে মিলিত হয়ে ডেনমার্কের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাকে অনায়াসে পরাজিত করে। এরপর ভিয়েনার সন্ধি
অনুসারে ডেনরাজ ডাচিদ্বয়ের উপর প্রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার মিলিত অধিকার স্বীকার
করতে বাধ্য হন কিন্তু স্থান দুইটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার
মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে ১৮৬৫ সালে গ্যাসটিন চুক্তি দ্বারা একটি সামরিক
মীমাংসা হয়। স্থির হয় যে, শ্লেজউইগ থাকবে প্রাশিয়ার অধিপত্যে আর হলস্টেইনের
উপর কর্তৃত্ব থাকবে অস্ট্রিয়ার।
- স্যাডোয়ার যুদ্ধ :
১৮৬৬ সালে অস্ট্রিয়া শ্লেজউইগ হলস্টেইনের প্রশ্নটি কনফেডারেশনের ডায়েটের
নিকট উপস্থিত করলেন তা গ্যাসটিনের চুক্তি বিরোধী এই অভিযোগে প্রাশিয়া
হলস্টেইনে সৈন্য পেরন করে। এর প্রতিবাদে অস্ট্রিয়ার নেতৃত্বে ডায়েট
প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অস্ট্রিয়া চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। এর ফলে
কেবলমাত্র অস্ট্রিয়াই নয়, সমগ্র জারমানি প্রাশিয়ার পদানত হয় ।
- সেডানের যুদ্ধের ফলে জার্মান-ঐক্য আংশিকভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। বিসমার্ক বুঝেছিলেন যে, জার্মান জাতির সম্পূর্ণ ঐক্যের পথে ফ্রান্সই প্রধান অন্তরায়। তাই ফ্রান্সকে বিচ্ছিন্ন করে ফ্রান্সের বিরুদ্ধ বিসমার্ক যুদ্ধের অজুহাত খুঁজতে থাকেন। শীঘ্রই স্পেনের সিংহাসন নিয়ে ফ্রান্স ও প্রাশিয়ার মধ্যে এক বিবাদ উপস্থিত হয়। এই বিবাদের সুত্র ধরেই এমস টেলিগ্রামকে কেন্দ্র করে বিসমার্ক এমন অবস্থা সৃষ্টি করেন যে, ফ্রান্স নিজেই প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইউরোপীয় শক্তিগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফ্রান্সে সহজেই প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হতে থাকে। অবশেষে ১৮৭০ সালে সেডানের যুদ্ধে ফ্রান্স সম্পূর্ণ পরাজিত হয়। ফ্রান্স ১৮৭১ সালে অপমানজনক শর্তে ফ্রাঙ্কফুর্টের সন্ধি করতে বাধ্য হয় এবং এই সন্ধি অনুযায়ী ফ্রান্স জার্মানিতে মেটজ দুর্গ ও আলসাস-লোরেন অঞ্চল দুটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ।
CLASS 9 Part 8 All Links
Part 8 (Final)丨English Model Activity Task
Part 8 (Final)丨ভৌতবিজ্ঞান মডেল টাস্ক (Physical Science)
Part 8 (Final)丨জীবন বিজ্ঞান মডেল টাস্ক (Life Science)
Part 8 (Final)丨গণিত মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Math)
Part 8 (Final)丨ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
Part 8 (Final)丨ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কআমাদের দ্বারা প্রকাশিত মডেল টাস্ক এর উত্তরগুলি ভালো লেগেথাকলে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করে রাখতে পারো এবং আমাদের youtube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারো | নিচে দেওয়া লিংক থেকে Facebook YouTube জয়েন করো |
এছাড়া তোমাদের আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারো অথবা আমাদের ফেসবুকে অথবা টেলিগ্রামে মেসেজ করতে পারো |
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হতে পাশের লিঙ্কে ক্লিক করুন : Telegram
এছাড়া আমাদের ফেসবুক পেজেও প্রশ্নের ছবি তুলে পাঠাতে পারো | আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করার জন্য পাশের লিংকটিতে ক্লিক করো 👉 Esho Seekhi FacebookTags:
WBBSE Class 9 History Model Activity Task Compilation Part 8 Answers 2021, Model Activity Task Solutions History Part 8 Solutions 2021,
Class 9 History Model Activity Task Compilation, class 9
model activity task part 8 solutions, Model Activity Task Class 9 History PART 8, WBBSE Class 9 History Model
Activity Task 2021 Answers, wbbse class 9 history model activity task part 8, দশম শ্রেণী ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 সমাধান পার্ট 8
Post a Comment
Please give your valuable comments. It helps us to improve our content.